প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ৩৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ব্যয়ে কালভার্টটি নির্মাণের দায়িত্ব পায় “বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশন লিমিটেড”। কাজ শুরু হয় ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এবং নিয়ম অনুযায়ী ১৮০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, তিন মাস আগে পুরনো কালভার্টটি ভেঙে ফেলা হলেও নতুন নির্মাণকাজ না করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লোকবল সরিয়ে নেয়। ফলে বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই সংযোগ সড়ক জলমগ্ন হয়ে পড়ে এবং কাদা জমে চলাচল অসম্ভব হয়ে যায়।
নয়ানখালের কৃষক মজিবর রহমান (৫৬) বলেন, “কালভার্টটি ভেঙে পড়ে আছে দেখে ধান নিয়ে কেউ ভ্যান চালাতে চায় না। বাজারে পৌঁছানোই এখন কষ্টকর।”
কালুরঘাট নতুন বাজারের হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী মিজু সরকার (২৮) জানান, “সৈয়দপুর থেকে পাইপসহ মালামাল আনতে ভ্যান বা পিকআপই ভরসা। কিন্তু কালভার্ট ভেঙে পড়ায় অনেক গাড়ি আসতে চায় না।”
নয়ানখাল ডাংগারহাটের সিমেন্ট ব্যবসায়ী আব্দুল করিম বলেন, “কালভার্ট না থাকায় সিমেন্টের গাড়ি সাত কিলোমিটারের রাস্তা না পেরে প্রায় বিশ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়। এতে সময় ও খরচ দুই-ই বাড়ছে।”
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান জানান, “ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে আমরা একাধিকবার কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য চিঠি দিয়েছি, কিন্তু এখনো তারা সাড়া দেয়নি।”