শুক্রবার, নভেম্বর ২২

কিশোরগঞ্জে ৬ কেজি চালের দামেও মিলছে না ১ কেজি কাঁচা মরিচ 

 নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ৬ কেজি চালের দামেও মিলছে না এক কেজি কাঁচা মরিচ।কাঁচা মরিচের অতিরিক্ত দামে ক্রেতাদের এখন নাভিশ্বাস। উপজেলায় পুঁই শাক, পাট শাক, কচু কলমি শাক, ধনেপাতা, কচুর ছড়া, চিচিঙ্গা, বরবটি, আদা, হলুদ, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ধরনের কাঁচা সবজির দাম বৃদ্ধির কারণে মানুষের যখন নাভিশ্বাস সেই মুহূর্তে আলোচনায় উঠে এসেছে কাঁচা মরিচ।উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে কাঁচা মরিচের দাম গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে হয়েছে তিনগুণের বেশি।
সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি মরিচ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় কিনে খুচরা বাজারে দোকানদাররা বিক্রি করছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়।প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বেশি দামে কিনে খাচ্ছেন ক্রেতারা। বর্তমানে কাঁচা মরিচের বাজার দরে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকার নিম্নবিত্ত পরিবারের ক্রেতারা। কেউ কেউ কাঁচা মরিচ না কিনে শুকনো মরিচের গুঁড়া বা শুকনো মরিচ  কিনছেন।
উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের নয়ানখাল ডাঙ্গারহাট বাজারে আসা আজিজুল ইসলাম নামে এক ক্রেতার সাথে দেখা হলে তিনি জানা,
আয়ের সাথে ব্যয়ের কোনো মিল খুঁজে পাচ্ছি না । সারাদিনে অন্যের বাড়িতে কাজ করে ৪০০ টাকা পাই। এমনকি কাজ কোনোদিন হয়,আবার  কোনোদিন হয় না। কাঁচা মরিচ যদি ৩৫০ টাকা দিয়ে কিনে খাই। তাহলে বাকি খরচের টাকা আমরা কোথায় পাবো। এভাবে চলতে থাকলে  গরিব মানুষ বাঁচবে কিভাবে? তিনি আরও  বলেন- আলু, বেগুন, ঢেঁড়স, মরিচ, পেঁয়াজ, আদা, হলুদ বরবটি, কচুর ছড়া, পটলসহ সব কিছুর দামই বেশি। একটু বৃষ্টি নামলেই ব্যবসায়ীরা অজুহাত দেয় আজ মরিচের আমদানি নাই। তাই মরিচসহ প্রত্যেকটি কাঁচামালের দাম বেড়েছে। নয়ানখাল বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী দয়াল মিয়া জানান,চলতি বর্ষা মৌসুমে অন্যান্য জেলাসহ স্থানীয় মরিচ চাষিদের ক্ষেতে গাছ মরে যাওয়ায় বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়েছে।পাইকারি প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ৩০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
কাঁচা মরিচ কিনতে আসা মর্জিনা বেগম নামে এক গৃহিণী বলেন, মাছ, মাংস রান্নায় কাঁচা মরিচের দরকার হয়। তরকারির স্বাদও ভালো হয়। কিনতে এসে দেখি, এক কেজি চালের দামের চেয়ে এক কেজি মরিচের দাম তিনগুণ বেশি। তাই কাঁচা মরিচ না কিনে শুকনা মরিচ কিনলাম।
মরিচ চাষি অলিন মিয়া জানান, বৃষ্টি ও গরমের কারণে অনেক মরিচ গাছ ক্ষেতে নষ্ট হয়েছে। গাছ মরে যাওয়ায় ফলন নাই। যারা আদা ক্ষেতে মরিচ লাগিয়েছে, শুধু তারাই একটু ফলন পাচ্ছে। এই জন্য বাজারে মরিচের আমদানি নাই। ফলে দামও অনেক বেশি।

দেশকাল টিভি -চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন,ধন্যবাদ।

জনপ্রিয় পোস্ট

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সকল স্বত্ব www.deshkaltv.com কর্তৃক সংরক্ষিত