অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীর ওপরে হামলা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শোক দিবস উপলক্ষে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন কালে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেসরকারি টিভি চ্যানেল ২৪এর সাংবাদিক এটিএম মাকসুদুল হক ইমু। ঘটনার সত্যতা জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোষ্টও দেন তিনি। সেখানে ইমু লিখেন, ধানমণ্ডি ৩২ নাম্বারে অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীর উপর ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি প্রত্যক্ষদর্শী।
জানা গেছে, পূর্ব ঘোষণা রোকেয়া প্রাচী ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যান। এসময় আরো ৭০-৮০ জন সংস্কৃতিকর্মী রোকেয়া প্রাচীর সঙ্গে যোগ দেন। সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের আয়োজন চলাকালে ৩০-৩৫ জন যুবক উপস্থিত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, তাদের হাতে লাঠিসোঠা ছিল। তারা সকলকে হুমকি দিয়ে সরিয়ে দেয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাঙচুর করে। রোকেয়া প্রাচী সেটি ঠিক করতে গেলে তাকে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে যুবকেরা। একের পর এক আঘাতে অভিনেত্রী লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে দ্রুত সহশিল্পীরা ধরে বাইরে নিয়ে যান।
এদিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি এখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। আজ বুধবার এই বাড়িতে অবস্থান নিয়ে রোকেয়া প্রাচী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আছি ধানমন্ডি ৩২। হোক সব হত্যার, সব নৈরাজ্যের বিচার।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘বিচার হোক বাঙালির ইতিহাস হত্যার, আছি। আমরাও বিচার চাই। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে স্মরণ করব স্বাধীনতা এবং বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস। আছি পুড়ে যাওয়া ৩২-এ।’
এদিকে, ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। তার দেশ ছাড়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পরই আওয়ামী লীগ এবং দলটির সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশ ছাড়াসহ আত্মগোপনে চলে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাদের উপস্থিতি খুব একটা নেই। তবে এখনও সরব আছেন আওয়ামী লীগের কর্মী ও অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী।
এর আগে ফেসবুকে রোকেয়া প্রাচী ঘোষণা দেন, ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে মিছিল নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে উপস্থিত হওয়ার। একটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা জেগে উঠবো এই ধ্বংস থেকে। জেগে উঠবো আগুনে পোড়া ৩২ এর এই ঘর থেকে। জেগে উঠবো নিভে যাওয়া ছাই থেকে। জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভেবেছ সব সাহস পুড়েছে? পুড়েছ তোমরা! আমরা বাঙালি এই ছাইভস্ম থেকেই উঠবো আবার আগুন হয়ে জেগে! জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।