শনিবার, নভেম্বর ২৩

নওগাঁর রাণীনগরে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বসতবাড়ির জায়গা ফিরে পেলেন সেই দম্পতি

নওগাঁর রাণীনগরের পারইল ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে এক অসহায় দম্পতির প্রায় ১৫ বছর ধরে চলা বিরোধের নিরসন করে দিয়েছেন ইউএনও উম্মে তাবাসসুম। তার হস্তক্ষেপে বসতবাড়ির জায়গা ফিরে পেয়েছেন ভূক্তভোগী ওই দম্পতি। আর জায়গা ফিরে পেয়ে খুশি উপজেলার পারইল গ্রামে দম্পতি পরিমল-লাবনী। গত ৯ এপ্রিল উপজেলার পারইল বাজারে ইউনিয়ন পরিষদের ও হাটের জায়গা দাবি করে পরিমল-লাবনী দম্পতির নির্মাণকৃত বসতবাড়ির রান্নঘর ও টিনের প্রাচীর প্রকাশ্যে ভেঙে দেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান জাহিদ। এ নিয়ে ১৭ এপ্রিল বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর রাণীনগরের ইউএনও উম্মে তাবাসসুম উভয় পক্ষকে ডেকে নেন তার অফিসে কক্ষে। সেখানে কাগজপত্র অনুযায়ী ইউপি চেয়ারম্যান ও তহশিলদারকে নির্দেশনা দেওয়া হয় ভূক্তভোগী দম্পতিকে জায়গা বের করে দেওয়ার জন্য। এরপর গত শনিবার ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ ও স্থানীয় তহশিলদার মোস্তাফিজুর গিয়ে ওই দম্পতিকে বসতবাড়ির জায়গা বের করে দেন। লড়াই চালিয়ে যাওয়া লাবনী আনন্দের সুরে বলেন, আমি নারী হয়ে অনেক সংগ্রাম চালিয়েছি। কিন্তু এর কোনো স্থায়ী সমাধান হচ্ছিল না। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ইউএনও স্যার নিজে হস্তক্ষেপ করেন। অফিসে আমাদেরকে ডেকে নিয়ে সঠিকভাবে জায়গার পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ করে দিতে নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান ও ভূমি অফিসারকে। স্যারের নির্দেশে গত শনিবার আমাদের বসতবাড়ির জায়গা বের করে দেওয়া হয়েছে। আমরা যেখানে ছিলাম সেখানেই জায়গা পেয়েছি। এরপর সোমবার জায়গাটি ঘিরে নিয়েছি। এখন আর অসুবিধা নেই। এতে আমরা অনেক খুশি। সেই সাথে চির কৃতজ্ঞ থাকবো ইউএনও স্যারের প্রতি। পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীদেরও ধন্যবাদ জানান তারা। পারইল-বড়গাছা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশে চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ উপস্থিত থেকে পরিমল-লাবনী দম্পতির জায়গাটি বের করে দেওয়া হয়েছে। স্যারের দূরদর্শী ব্যবস্থাপনায় লাবনী দীর্ঘদিনের কাংখিত জমিটি ফিরে পেয়েছেন। পারইল ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান জাহিদ বলেন, দীর্ঘদিনের চলমান সমস্যা ইউএনও স্যার সমাধান করে দিয়েছেন। আশা করি এটা নিয়ে আর কোনো সমস্যা হবে না। রাণীনগরের ইউএনও উম্মে তাবাসসুম বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আমি জানতে পারি। এরপর ওই দম্পতিকে মালিকানার কাগজসহ শুনানির জন্য ডাকা হয়। এরপর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, সার্ভেয়ারের মাধ্যমে জায়গা পরিমাপ করে ইউনিয়ন পরিষদের জমি, লাবনীর জমি ও হাটের জমি চিহ্নিত করা হয়। সেই সঙ্গে ওই দম্পতির জায়গার কাগজপত্র সঠিক থাকায় তাদের জায়গা বের করা দেওয়া হয়েছে। জনসেবায় উপজেলা প্রশাসন সর্বদাই সবার পাশে আছে বলেও জানান তিনি।

দেশকাল টিভি -চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন,ধন্যবাদ।

জনপ্রিয় পোস্ট

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সকল স্বত্ব www.deshkaltv.com কর্তৃক সংরক্ষিত