শরীয়তপুর প্রতিনিধি: পদ্মা নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের দূর্গম কাঁচিকাঁটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী ও পরাজিত চেয়ারম্যান সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে সখিপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এরআগে বুধবার সকালে উপজেলার সখিপুর থানার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ মাথাভাঙা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ মার্চ ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নেয় ৪ জন। এতে চশমা প্রতীকের প্রার্থী এইচ এম কামরুল ইসলামকে মাত্র ৬৭ ভোটে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় আনারস প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আমিন দেওয়ান। এরপর থেকে আধিপত্য বিস্তারে একসঙ্গে জোট বাঁধেন পরাজিত তিন প্রার্থী এইচ এম কামরুল ইসলাম, ফজলুল হক কাওসার মোল্লা ও আব্দুল হাই।
গত সোমবার পদ্মা নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এইচ এম কামরুল ইসলামের সমর্থক কাকন হাওলাদার, ইউপি সদস্য আহমেদ আলী মৃধা, রিপন বেপারী ও রফিক মৃধা সহ বেশ কয়েজন হামলা চালায় বিজয়ী চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ানের সমর্থক নজির খার বাড়িতে। এরপর থেকে দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। সে ঘটনার রেশ ধরেই বুধবার সকাল থেকে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে আল আমিন দেওয়ান, নজরুল খান, সোনা মিয়া দেওয়ানসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর, মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সখিপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরাজিত ও বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে। দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।