হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক (আনারস প্রতীক) ইউনুস গনি চৌধুরী।
দিনভর ভোটগ্রহন শেষে রাতে ৩৬০৭৭ ভোটে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয় তাঁকে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি (ঘোড়া প্রতীক) সোহরাব হোসেন নোমান পেয়েছেন ৩২৬০৬ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) হয়েছেন টিউবওয়েল মার্কা প্রতীক নিয়ে ব্যারিষ্টার আশরাফ উদ্দিন, তার প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩৮৮৬৫, ভোট তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল এম এ খালেদ বৈদ্যুতিক বাল্ব মার্কা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫১২৩ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন ফুটবল মার্কা প্রতীক নিয়ে সাজেদা বেগম তার প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩০৭১৫ ভোট,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিবি ফাতেমা শিল্পী তিনি প্রজাতির মার্কা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩৬২৭ ভোট।
হাটহাজারী উপজেলায় মোট ভোটেরের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ৪৪৮ জন, যার মধ্যে পুরুষ ভোটার হলো ১লক্ষ ৭০ হাজার ৮০৫ জন আরা মহিলা ভোটার হলো ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৬৪৩ জন ছিল মোট ভোটার উপস্থিতি ছিল ২৭.৫৪%।
হাটহাজারী উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে মোট ভোট কেন্দ্র আছে ১০৬ টি।
এদিকে কে মঙ্গলবার সকালে ভোট শুরুর কয়েক ঘন্টার মাথায় চেয়ারম্যান পদের মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী রাশেদুল আলম ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী সোহরাব হোসেন নোমানের সমর্থকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে তা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সকাল সাড়ে ১১টায় ভোট শুরু হওয়ার পর হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের জোবরা পি পি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে
দুই প্রার্থীর সর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, এজেন্ট অফিস আগুন ও ভাংচুর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় ১ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্বাভাবিক থাকলেও বাইরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যাব ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থা করেছিলেন।