মাদারীপুর সদরে বেপরোয়া ও দ্রুতগামী প্রাইভেটকারের ধাক্কায় সুরাইয়া আক্তার (১৩) নামের এক কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হলেও বাকি চারজন এখনো পলাতক রয়েছেন।
গত শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলার হবিগঞ্জ বাজার এলাকার রমজান ভূঁইয়ার বাড়ির সামনের সড়কে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মিম আক্তার (১৪) নামে আরও এক কিশোরী গুরুতর আহত হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত সুরাইয়ার বড় ভাই রনি কাজী বাদী হয়ে শনিবার (২৯ নভেম্বর) মাদারীপুর সদর মডেল থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন—তাহমিদ ইসলাম সামি (১৬), সাদমান চৌধুরী, সাইমুল, আবির হাওলাদার ও লিয়াম।
দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে তাহমিদ ইসলাম সামিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তবে গাড়িতে থাকা বাকি চার অভিযুক্ত কৌশলে পালিয়ে যায়।
মাদারীপুর সদর মডেল থানা পুলিশ জানিয়েছে, মামলার প্রধান আসামিদের একজনকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। পলাতক সাদমান, সাইমুল, আবির ও লিয়ামকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। পুলিশ বলছে, দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার বিকেলে সুরাইয়া ও তার চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে মিম আক্তার ওষুধ কিনে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় পেছন থেকে আসা একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ-৩২-৮১৯৩) রাস্তায় বেপরোয়াভাবে রেস করার সময় তাদের সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে সুরাইয়া রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। সংঘর্ষের পর প্রাইভেটকারটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আগুন ধরে যায়।
নিহতের পরিবার এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার এবং পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।