শুক্রবার, নভেম্বর ২২

পেয়ারা একটি দ্রুত বর্ধনশীল ফল

সবুজ রঙের গোলাকৃতি দৃষ্টিবিলাসী একটি জনপ্রিয় ফল হল পেয়ারা। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে সারা বছরই এই ফলের চাষ হয়ে থাকে। নানারকম স্বাস্থ্যকর গুণাবলীর উপস্থিতির কারণে এবং তুলনামূলক সহজসাধ্য হওয়ায় এই ফল হয়ে উঠেছে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের কাছে সহজলভ্য। তাই ফলটি ‘গরিবের আপেল’ নামেও সুপরিচিত। পেয়ারা একটি দ্রুত বর্ধনশীল গ্রীষ্মকালীন ফল। দেশের সর্বত্রই কম বেশি এই ফলের চাষ হয়ে থাকে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা যেমন মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হাওড়াতে বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু পরিস্থিতিতে সারা বছরেই এই ফলের চাষ হলেও, সমস্ত ফলের গুণগত মান সমান হয় না বিভিন্ন কারণে।

পুষ্টি ও গুণাগুণ
পেয়ারা ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ একটি ফল। করোনাকালে মানুষের স্বাস্থ্যোন্নতির জন্য প্রায়শই চিকিৎসকরা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ভিটামিন সি-এর উৎস হিসেবে যে সমস্ত ফল বাজারে সহজলভ্য, তাদের মধ্যে পেয়ারা হল অন্যতম। পেয়ারা একদিকে যেমন দেহের ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়াতে সাহায্য করে। অন্যদিকে দাঁত মজবুত রাখতেও অন্যতম ভূমিকা নেয়। এছাড়া পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-বি ও প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ যেমন- ক্যালসিয়াম ও আয়রন পাওয়া যায়। পেয়ারা কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থায় খাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য ফলে ১৪.৫% শ্বেতসার, ১.৫% প্রোটিন, ১.০% লৌহ, ০.০১% ক্যালসিয়াস, ৩০.০ মিলি গ্রাম ভিটামিন বি-১, ৩০.০ মিলিগ্রাম রিবোফ্লোভিন, ২৯৯.০ মিলীগ্রাম ভিটামিন-সি এবং ৬৬ ক্যালরি রয়েছে। ফলে যথেষ্ট পরিমাণে পেকটিন থাকায় সহজেই জ্যাম, জেলি, চাটনি ইত্যাদি মুখরোচক খাবার তৈরি করা যায়।

দেশকাল টিভি -চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন,ধন্যবাদ।

জনপ্রিয় পোস্ট

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সকল স্বত্ব www.deshkaltv.com কর্তৃক সংরক্ষিত