শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় যেতে পারলে ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলবেন বলেও জানান তিনি।
শনিবার বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির সঙ্গে কথা বলেছেন মির্জা ফখরুল।
দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি খুবই অসুস্থ। হাসপাতালে আছেন। তিনি মাল্টিডিসপ্লিনারি রোগে ভুগছেন। দেশে তার ভালো চিকিৎসা হচ্ছিল না। আমরা আদালত এবং সরকারকে বারবার অনুরোধ করেছিলাম উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যেন বিদেশে পাঠানো হয়। কিন্তু সেটি হয়নি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এখন বিদেশ যাওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা তার নেই। তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের আরো কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। তিনি যদি শারীরিকভাবে ফিট থাকেন তাহলে অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নেবেন।
বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত জানিয়ে দলটির মহাসচিব বলেন, বিএনপি এখন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে সময় লাগবে। কারণ শেখ হাসিনার সরকারের সময় নির্বাচনী কাঠামো কার্যত ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।
পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা দূষিত হয়ে গেছে এবং এটি এখন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের অবস্থানে নেই। এ কারণে তাদের নির্বাচনী ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে, যোগ করেন ফখরুল।
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি বলে তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যে দাবি করেছেন এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক দল এবং সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি নিজে বলেছেন তিনি পদত্যাগ করেছেন। এটি কোনো জবরদস্তি ছিল না…বিপ্লব ছিল। যখন লাখ লাখ মানুষ শেখ হাসিনার বাড়ির দিকে আসছিল; তার নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনী বলেছে তার সামনে দুটি অপশন রয়েছে: এখানে থাকুন মানুষের রোষে পড়ুন। আর নয় দেশ ছাড়ুন। তিনি দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, এটি পুরোটি সত্য নয়। যখন আমাদের দেশে বা অন্য দেশে পরিবর্তন হয়…বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশে…কিছু মানুষ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। বাংলাদেশে দুর্ভাগ্যবশত দায়িত্বে থাকা দলের নেতারা ভিকটিমের শিকার হন। তারা মুসলিম হোক আর হিন্দু হোক। সংখ্যালঘুদের ওপর বিক্ষিপ্ত কিছু হামলা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো রাজনৈতিক অথবা পদ্ধতিগত এজেন্ডা ছিল না। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক পরিবেশ অসাধারণ।