কুমিল্লার দেবীদ্বারে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়কের কার্পেটিং করার অভিযোগে কাজটি বন্ধ করে দিয়েছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ্। সদ্য করা কার্পেটিং হাত দিয়েই তুলে ফেলা সম্ভব হওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কাজটি বন্ধের নির্দেশ দেন।
সোমবার বিকেল ৫টার দিকে হাসনাত আব্দুল্লাহ্ তার নিজ এলাকার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে সড়কের বেহাল দশা ও নিম্নমানের কাজ নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ পান। অভিযোগ পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিক সড়কটি পরিদর্শনে যান। সেখানে তিনি দেখতে পান, সদ্য করা কার্পেটিংয়ের পিচ হাত দিয়েই সহজে তুলে ফেলা যাচ্ছে। কাজের এমন মান দেখে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলীকে ফোন করে কাজটি বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, এই সড়কটি দেবীদ্বার উপজেলা সদরের সাথে সুবিল, ফতেহাবাদ ও রসুলপুর ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। দীর্ঘ চার বছরের বেশি সময় ধরে কাজটি অসম্পূর্ণ থাকায় এলাকাবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল।
খবর পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র সরকার ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং হাসনাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, প্রায় ৫ বছর আগে ২০১৮ সালে রসুলপুর ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর থেকে সুবিল ইউনিয়নের বুড়িরপাড় বাজার পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কের কাজটি পায় ‘মেসার্স আরতার এন্ড ইয়েষ্টেড ইন্টারন্যাশনাল’ নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তৎকালীন সময়ে কাজের প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকা।
তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারিসহ নানা কারণে মেকাডমের পর প্রায় চার বছর কার্পেটিংয়ের কাজ বন্ধ ছিল। বর্তমান বাজারদরে পুরনো প্রাক্কলনে কাজটি করতে ঠিকাদার আপত্তি জানালেও চাপের মুখে কাজ শুরু করেন। কাজটি মূলত তদারকি করছিলেন সুবিল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের সরকার।
প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র সরকার আরও জানান, চলতি অর্থবছরের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করা না গেলে এটি আগামী বাজেটে চলে যাবে, যা জনদুর্ভোগ আরও দীর্ঘায়িত করতে পারে। তিনি দ্রুত মানসম্মতভাবে কাজটি সম্পন্ন করার আশ্বাস দেন।