ঘূর্ণিঝড় রেমাল অতিপ্রবল বেগে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এ অবস্থায় নৌপথ উত্তাল হওয়ায় যাত্রীসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে অভ্যন্তরীণ নৌপথের সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার জন্য রবিবার (২৬ মে) নরসিংহপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্গত লঞ্চঘাট ও ফেরী ঘাটে হ্যান্ড মাইক দিয়ে জনসাধারণের মধ্যে সতর্কবার্তা পৌঁছানো হয়েছে এবং নৌপথে চলাচলরত যাত্রীদের সরকারী নির্দেশ মেনে নৌ পথে চলাচলের জন্য অনুরোধ করেন নরসিংহপুন নৌ পুলিশ।
এ দিকে উপকূলের ১৩টিসহ ১৮ জেলা রেমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।
রাতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এমন তথ্য দেন।
তিনি বলেন, রোববার (২৬ মে) ভোর থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানতে শুরু করবে। ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রমের সময় বাতাসের গতিবেগ ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে, কখনও কখনও এটি ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, রেমাল রোববার সন্ধ্যার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এ সময় ৮ থেকে ১০ ফুট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে উপকূল। এ অবস্থায় রোববার ভোরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
আবাহাওয়ার বিশেষ বার্তা (৮ নম্বর) অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এর আগে সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতরের ৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে।