Annual Performance Agreement (APA) বা বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক চবি ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর উদ্যোগে সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনা যথাযথ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘সিটিজেন চার্টার’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা চবি ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ভার্চুয়াল ক্লাশরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার ( ০৮ মে) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উক্ত কর্মশালার উদ্বোধন করেন এবং বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চবি মাননীয় উপ-উপাচার্যদ্বয়। চবি আইকিউএসি এর অতিরিক্ত পরিচালক ড. কমল দে এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ। আইকিউএসি এর অতিরিক্ত পরিচালক ড. তানজিনা শারমিন নিপুন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে রিসোর্স পার্সন হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন চবি পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ও সিটিজেন চার্টার এর ফোকাল পয়েন্ট ড. শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী। দিনব্যাপি কর্মশালায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন সেকশন অফিসার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। কর্মশালায় এপিএ, আইকিউএসি ও তথ্য-ফটোগ্রাফি শাখার কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মাননীয় উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সকলকে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পাদিত এপিএ চুক্তির আলোকে বার্ষিক কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ‘সিটিজেন চার্টার’ প্রস্তুতকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য সিটিজেন চার্টার সেবা একটি অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিস, দপ্তর, বিভাগ এবং শাখাসমূহের সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি ‘সিটিজেন চার্টার’ প্রদর্শিত থাকলে যে কেউ সেবা পেতে সহজ হবে।” আজকের কর্মশালায় আলোচনা-পর্যালোচনার মাধ্যমে সিটিজেন চার্টার তৈরীর বিষয়ে ধারণা অর্জন করে প্রত্যেক বিভাগ, ইনস্টিটিউট, অফিস ও দপ্তরে স্ব স্ব সেবা কার্যক্রমের ছক তৈরি করে একে অপরের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সেবা প্রদান নিশ্চিত করবেন মর্মে মাননীয় উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে সেবা প্রদানের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমকে অধিকতর গতিশীল করার নির্দেশ দেন। মাননীয় উপাচার্য ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও অসংখ্য মানুষের আত্ম-ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এ দেশের ঋণ শোধ করতে প্রত্যেকে নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে সর্বোচ্চ সততা, স্বচ্ছতা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সাথে কর্তব্য পালন করে শিষ্টাচার ও সুন্দর আচরণের মাধ্যমে সেবাপ্রার্থীদের যথাসময়ে সেবা প্রদান নিশ্চিত করার আহবান জানান। তিনি দিনব্যাপি কর্মশালার সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।