খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার বাগালি ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে মোঃ মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে হয়রানি ও মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে নিরীহ মানুষদের ফাসানোর অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে গেলে মোশাররফ এর বিরুদ্ধে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক ও সংসদ সদস্য খুলনা ৬ সহ বিভিন্ন দপ্তরে গণস্বাক্ষরকৃত এলাকাবাসীর দরখাস্তের স্বপক্ষে মনিরুল, আলমগীরসহ অনেকে বলেন যে মুকুল একজন এতিম, নিরীহ ও সৎ চরিত্রের অধিকারী। মোশাররফের একাধিক স্ত্রী থাকা সত্বেও মুকুলের অপ্রাপ্ত বয়স্ক বোন তানিয়াকে কৌশলে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করার পর থেকে মুকুল ও তার পরিবারের সাথে কোন যোগাযোগ ছিলো না। মোশাররফের অত্যাচারে তানিয়া জীবন বাঁচার তাগিদে বাধ্য হয়ে মোশাররফ কে তালাক প্রদান করিলে মোশাররফ প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে মুকুল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা করে জেল হাজত খাটানোর অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আজিজুল গাজী বলেন ঘর জ্বালানোর ঘটনাটা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। ঘটনার দিন রাত আনু: ১:৩০ মিনিটে মোশাররফ আমাকে জানায় আমার ঘরে কেউ গ্যাসলাইট দিয়ে আগুন ধরাইয়া দিছে। আশেপাশে কেউ জানলো না এবং গ্যাসলাইট দিয়ে আগুন ধরানো হয়েছে মোশাররফ জানলো কি করে?
অত্র ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ওলিউল্লাহ বলেন মোশাররফের বিরুদ্ধে এলাকার বিভিন্ন লোকজনের অভিযোগ আছে। আমার মনে হয় ঘটনাটি পারিবারিক দ্বন্দ্ব থেকে কাজ করছে। একে অপর কে ঠকানো ও হয়রানি করাই মূল উদ্দেশ্য। যে মেয়েকে নিয়ে এই দ্বন্দ্ব সে তো মোশাররফের সাথে ঘরসংসার করতে চায় না।বিষয়টা নিয়ে একজায়গায় বসে সমাধান হলে একে অপরকে ঠকানো বন্ধ হতো।
মোশাররফের স্ত্রী আছিয়া বলেন ঘটনার দিন রাতে আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম তখন কয়েকজন লোক আমার মনে হয় আগুন পাঝাই তাজাই এসে ডেকে নিয়ে যায়। আমি যখন ঘটনাস্থলে যায় তখন আগুন নেভানো ছিলো। আমার স্বামী বাড়িতে ছিলো না, খোলারছা ওয়াজ মাহফিলে গিয়েছিল আইসক্রিম বিক্রি করতে। বিষয় টা তখন আমরা তার ফোনে জানাই। আমি বা আমার স্বামী আগুন কিভাবে ধরেছে বা করা ধরাইছে সচক্ষে কিছু দেখি নাই।
মোশাররফ হোসেন মুঠো ফোনে বলেন ,এলাকাবাসী আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। মুলত তারা ঐখান থেকে আমাকে তাড়াবে বলে অভিযোগ করেছে। ঘর জ্বালানোর যে অভিযোগ সেটা আমার অভিযোগ না, সেটা আমার বউ ও শ্বশুরের অভিযোগ।