সিলেট প্রতিনিধি: সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নির্বাচিত হয়ে স্মার্ট নগরী উপহার দেবেন। সেই প্রতিশ্রুতির কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে নগরের পরিচ্ছন্নতা ও ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ করে চমক দেখিয়েছেন। সেইসঙ্গে এবার ঈদের আগেই নগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জিরো টলারেন্সে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উদ্যোগে কোতোয়ালি মডেল থানায় ১১০টি সিসি ক্যামেরার উদ্বোধন করেন সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসএমপি কমিশনার জাকির হোসেন খান।
দীর্ঘদিন অচল অবস্থায় পড়ে থাকার পর সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে সবগুলো ক্যামেরা পুনরায় সচল করা হয়। এই ক্যামেরার মাধ্যমে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি) নগরীর অপরাধ দমন, অপরাধী শনাক্ত এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করবে। কোতোয়ালী থানা থেকে চলবে সার্বক্ষণিক মনিটরিং।
মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সিলেট নগরীকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসেন। সেটিকে আরো আধুনিকীকরণ করে স্মার্ট সিলেট নগরী গড়তে কাজ করে যাাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ আগের থেকে অনেক আধুনিক। সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় পুলিশ বাহিনীকে একটি শক্তিশালী বাহিনীতে রূপান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথ্য-প্রযুক্তির দিকে খুবই স্মার্ট হয়েছে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনেক স্পর্শকাতর ঘটনাও এখন সমাধান করা যায় যা কয়েক বছর আগেও সম্ভব ছিলো না। এই নজরদারি সিস্টেম প্রকল্প সিলেট নগরীকে আরো স্মার্ট নগরীতে পরিণত করবে এবং স্মার্ট সেবা প্রদানে সবার সহজ হবে।
এর আগে ২০২১ সালে ১১০টি ক্যামেরা প্রদান করে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। ২ বছর এ ক্যামেরাগুলো অচল থাকায় পুলিশের নজরদারি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরে সিলেট মহানগর পুলিশের অনুরোধে দরপত্র আহবান করে সিসিক। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে মেরামত ও নতুন ২০টি প্রতিস্থাপন করা হয়।